প্রথম পাতা » নার্সারী » লাল লংঙ্গান / আশফলের চারা ।
![]() পন্যের নাম: লাল লংঙ্গান / আশফলের চারা । পন্য ক্রমিক নং: ৩২ বিস্তারিত: এটি বিদেশ থেকে আমদানী কৃত লাল লংঙ্গান / আশফলের চারা । খুবই মিষ্টি , মাংশ পুরো, বিচি ছোট , প্রচুর পফন দেয় ।চারার সাইজ ২ ফিট, প্যেকেটে আছে । ঢাকার মদ্ধে হোম ডেলিভারী ও অন্য জেলায় কুরিয়ারে চারা পাঠানো হয় । রোপণ পদ্ধতিঃ ========= সমতল ভূমিতে বর্গাকার বা আয়তকার বা ষড়ভূজি পদ্ধতিতে চারা রোপণ করা যেতে পারে। কিন্তু উঁচু নিচু পাহাড়ি এলাকায় কন্টুর রোপণ পদ্ধতিতে চারা রোপণ করা উত্তম। গর্ত তৈরিঃ ======= চারা রোপণের ১৫-২০ পূর্বে ৫ মি. x ৫ মি. দূরত্বে ১ মি. x১ মি. x১ মি. আকারের গর্ত করতে হবে। গর্তের উপরের মাটির সাথে ১৫-২০ কেজি জৈবসার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি ও ২৫০ গ্রাম এমওপি সার ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে তাতে পানি দিতে হবে। চারা-কলম রোপণ ও পরিচর্যাঃ =================== গর্তে সার প্রয়োগের ১০-১৫ দিন পর গর্তের মাঝখানে নির্বাচিত চারাটি খাঁড়াভাবে রোপণ করে চারার চারদিকের মাটি হাত দিয়ে চেপে ভালোভাবে বসিয়ে দিতে হয়। চারা রোপণের পর শক্ত খুঁট পুঁতে খুঁটির সঙ্গে চারাটি বেঁধে দিতে হবে যাতে বাতাসে চারার কোনো ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনবোধে বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। চারা রোপণের পরপরই পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। গাছে সার প্রয়োগঃ =========== গুণগতমানসম্পন্ন উচ্চফলন পেতে হলে আঁশফলে নিয়মিত সারপ্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সারের পরিমাণও বাড়াতে হবে। নিম্নের ছকে গাছের বয়সভিত্তিক সারের পরিমাণ দেয়া হলো। উল্লিখিত সার তিন কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হয়। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে ফল সংগ্রহের পর ১ম বার, ফাল্গুন-চৈত্র মাসে মুকুল আসার সময় ২য় বার এবং জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে বীজের রঙ ধারণপর্যায়ে ৩য় বার সার প্রয়োগ করতে হয়। পোকামাকড় ও রোগবালাইঃ ================= আঁশফলে তেমন কোনো পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ হতে দেখা যায় না। তবে ফলের পরিপক্ব পর্যায়ে পাখি (ফিঙে, দোয়েল) ও বাদুড় ফল খেয়ে প্রচুর ফল নষ্ট করে ফেলে। তাই প্রত্যেক গাছ আলাদাভাবে বা সম্পূর্ণ বাগানে নাইলন নেট দিয়ে আবৃত করে ফল রক্ষা করা যায়। কালো পিপড়াঃ ========= এ ফল বেশি মিষ্টি বিধায় গাছে থাকা অবস্থায় কালো পিঁপড়া বীজ ও খোসা বাদ দিয়ে ফলের সব শাঁস খেয়ে ফেলে। দমন ব্যবস্থাঃ ======== বাগানের আশপাশে পিঁপড়ার বাসা থাকলে তা ধ্বংস করে ফেলতে হবে। সেজন্য মাটিতে ডারসবান ২০ ইসি @ ২ মিলিলিটার বা লরসবান ১৫ জি ৫ গ্রাম/লিটার হারে প্রয়োগ করতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে গাছে ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি বা ডারসবান ২০ ইসি ১.৫ মিলিলিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ফল সংগ্রহের অন্তত ১৫ দিন পূর্বে অবশ্যই কীটনাশক প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। ফল সংগ্রহঃ ======= ফাল্গুন-চৈত্র (মার্চ) মাসে ফুল আসে এবং শ্রাবণ-ভাদ্র (আগস্ট) মাসে ফল পাকে। সম্পূর্ণ পাকার পর ফল গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। আবার ফল বেশি পেকে গেলে গাছ থেকে ঝরে পড়ে ও ফেটে যায়, যা গাছের ফলনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। তাই সময়মতো ফল সংগ্রহ আঁশফলের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দর: ৩০০০ ষ্টক: ১০০টি পন্য সংযুক্তির তারিখ: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ পণ্যের ধরণ: নার্সারী পন্য প্রাপ্তির স্থান: গাজীপুর |