প্রথম পাতা » নার্সারী » থাই-মাধবী পেয়ারার কলম চারা ।



পন্যের নাম: থাই-মাধবী পেয়ারার কলম চারা ।

পন্য ক্রমিক নং: ৩৪

বিস্তারিত: পেয়ারা আমদের দেশে একটি অতি পরিচিত ফল। এটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি সুস্বাদু। দেশী ফলের মধ্যে আমলকির পরে পেয়ারাতেই সবচেয়ে বেশী ভিটামিন সি বিদ্যমান । এই পেয়ারা আমরা বাসা বাড়ির ছাদেই চাষ করতে পারি।

কিভাবে পেয়ারা চাষের টব/মাটি তৈরি করবেনঃ
পেয়ারা চাষ করার জন্য সর্ব প্রথমে সঠিকভাবে মাটি তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে বেলে দো-আঁশ মাটি সর্বোত্তম। প্রথমে ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটির সাথে ১ ভাগ গোবর এবং ৪০-৫০ গ্রাম টি,এস,পি সার এবং ৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার দিয়ে ড্রাম বা টব ভরে পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১২ দিন । অতঃপর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে । যখন মাটি ঝুরঝুরে হবে তখন একটি সবল সুস্থ চারা উক্ত টবে রোপন করতে হবে ।

পেয়ারা চাষে কি ধরণের টব/পাত্রের আকৃতি বাছাই করবেনঃ
ছাদে বা আঙ্গিনায় পেয়ারা গাছের জন্য একটি অর্ধেক ড্রাম সংগ্রহ করতে হবে। ড্রামের তলায় ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে । যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে । টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে ।

পেয়ারা চাষ/রোপনের সঠিক সময়ঃ
বছরের যেকোন সময়ে পেয়ারার গাছ লাগানো যায়। পেয়ারা একটি বারমাসী ফল। তাই বছরের যে সময়ই লাগান হোক না কেন নির্দিষ্ট সময় পর ফলন পাওয়া যাবে। চারা রোপনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে বংশ বিস্তার বীজ দ্বারা বংশ বিস্তার করা সবচেয়ে সহজ। কিন্তু বীজের গাছে মাতৃগাছের গুণ বজায় থাকে না যার ফলে চারা অনেক সময় নিকৃষ্ট মানের হয়।

গুটি কলম দ্বারা বংশ বিস্তার খুব সহজ। বর্ষাকাল আরম্ভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গুটি কলম করতে হয়। গুটি কলমের জন্য উন্নত জাতের সুস্থ সবল পেয়ারার গাছ বেছে নিতে হবে।

সঠিক নিয়মে পেয়ারার চাষাবাদ পদ্ধতি/কৌশল
পেয়ারার চারা লাগানোর পর লক্ষ্য রাখতে হবে কখনই যেন গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। তবে যদি দেখা যায় যে গাছের গোড়া শুকিয়ে গেছে তাহলে পানি দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশী পানি না ঢুকতে পারে । গাছটিকে সোজা করা লাগাতে হবে । এবং একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেধে দিতে হবে ।

পেয়ারা গাছে সারের পরিমাণ ও সার প্রয়োগঃ
পেয়ার গাছে নিয়ম করে সার প্রয়োগ করতে হবে। পেয়ারা গাছ লাগানোর ৪/৫ মাস পর থেকে নিয়মিত ১৫-২০ দিন অন্তর অন্তর সরিষার খৈল পচা পানি প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া পচা সরিষার খৈলের পানি পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। এর ফলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। ১০-১৫ দিন অন্তর অন্তর টব বা ড্রামের মাটি কিছুটা খুঁচিয়ে দিতে হবে ।
পেয়ারা গাছের পোকামাকড় দমন ও বালাইনাশক/কীটনাশক কিভাবে প্রয়োগ করবেন
ছাদে বা আঙ্গিনায় পেয়ারা বাগান করার ক্ষেত্রে পেয়ারা গাছে মাঝে মধ্যে কীটনাশক স্প্রে করে দিতে হবে। তাহলে আর পেয়ারা গাছে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারবে না। এবং ফলনও অনেক ভালো হয়।

কিভাবে পেয়ারা বাগানের যত্ন ও পরিচর্যা করবেনঃ
পেয়ারা গাছ লাগানোর পর গাছের গোড়া থেকে মাঝে মাঝে আগাছা পরিস্কার করা এবং গোড়ার মাটি ভেঙ্গে দেয়া দরকার। এবং পেয়ারা গাছের সর্বদা ছাটাই করে দিতে হয়। গাছ লাগানোর ২ বছর পর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে গাছের ডাল ছাটাই করে দিতে হবে। পেয়ারা গাছ ছাটাই করা হলে গাছে প্রচুর পরিমাণ ফলন পাওয়া যায় এবং ফলের আকারও অনেক বড় হয়। পেয়ারা গাছের খাড়া ও উল্লম্ব শাখা বা ডাল একটু ঠাসা দিয়ে / নুইয়ে দিলে ফল ধরা বৃদ্ধি পায়। কারণ উল্লম্ব শাখায় নতুন প্রশাখা এবং কুশি কম হয়।

এছাড়া অতিরিক্ত গরমে খড় বা কচুরিপানা দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি ঢেকে দেয়া উচিত, যেন মাটিতে রস বেশী দিন পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে এবং আগাছা জন্মাতে না পারে। এবং বেশী করে পানি দিতে হবে।

দর: ২৫০

ষ্টক: ৪০০টি

পন্য সংযুক্তির তারিখ: ১৫ অক্টোবর ২০১৯

পণ্যের ধরণ: নার্সারী

পন্য প্রাপ্তির স্থান: গাজীপুর




আরো কিছু পন্য